জাপানি বুলেট ট্রেন "শিনকানসেন " , এটায় চড়ার মধ্যে হয়ত বা কিছুটা aristocracy আছে , আরাম আছে, কিন্তু আমি নিশ্চিত বলতে পারি তেমন কোন আনন্দ নেই । এখানে মোবাইলে কথা বলা নিষেধ । বিভূতিভূষণের "পথের পাচালি" র অপু দুর্গা ট্রেন চড়ে যে আনন্দ পেয়েছিল, সেই আনন্দ থেকে জাপানি শিশুরা যে বঞ্চিত তা আমি হলফ করে বলতে পারি । টোকিও বিখ্যাত তার subway বা underground railway network er জন্য । এখানেও প্রথমে এসে দেখি সবাই ট্রেনে উঠেই হয় কানে earphone লাগিয়ে গান শুনবে অথবা নিজের smartphone নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়বে । কেউ কার সাথে কথা বলবে না । পুরো ট্রেন এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতা নিয়ে ছুটে চলে । পরে আবিষ্কার করলাম এদের পকেটমার বা ব্যাগ চুরি হওয়ার কোন দুশ্চিন্তা নেই , নেই ট্রেন দেরি করার উদ্বেগ । তাই এরা নিশ্চিন্তে নিজের রাজ্যে ডুব দেয়। কিন্তু আমি ত বাঙালি , আমার ত এত tension free journey করার অভ্যেস নেই । তাই পনের দিন পর থেকেই boring লাগতে থাকল । কি আর করা , আমিও আমার প্রিয় উপন্যাস আর গান নিয়ে smartphone সম্বল করে জাপানি জীবনে অভ্যস্ত হলাম । ট্রেনে বসে পড়ে শেষ করেছি বিমল মিত্রের প্রায় ১২০০ পৃষ্ঠার উপন্যাস " এই নরদেহ "। এবার শুরু করলাম একই লেখকের " কড়ি দিয়ে কিনলাম "। অবশ্য ফাঁকে ফাঁকে মাসুদ রানা আর তিন গোয়েন্দাও চলছে ।