আড্ডার এক ফাঁকে সিসিলিয়া অ্যামি কিতাজিমা আর সলিমুল্লাহ কাজলের কাছে আমাদের জিজ্ঞাসা। প্রথম আলো কার্যালয়ে বসে এবারের রিকশা-ফিয়েস্তার আদ্যোপান্ত বর্ণনা করছিলেন তাঁরা।
জানা গেল কথার ফাঁকে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দুজনেরই আপত্তি নেই। প্রথম আলোর অফিস সহকারীকে যখন চায়ের কথা বলা হচ্ছে, কিতাজিমা সঙ্গে ফুটনোট জুড়ে দিলেন, ‘আমার জন্য চিনি ছাড়া।’ একজন আপাদমস্তক জাপানের অধিবাসীর মুখে হঠাৎ পরিষ্কার বাংলা শুনে আমরা অবাক হতে গিয়েও হই না। জাপানি চিত্রনির্মাতা সিসিলিয়া অ্যামি কিতাজিমাকে যাঁদের মনে আছে, তাঁরা নিশ্চয়ই একমত হবেন, কিতাজিমার মুখে বাংলা ভাষাটা ‘অবাক করা’ কিছু নয়। তাঁর সঙ্গে আমাদের পরিচয়টা পুরোনো। তবু চলুন, আরেকবার পুরোনো পরিচয়টা ঝালাই করে নিই।
২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম বাংলাদেশে এসেছিলেন কিতাজিমা। মা-বাবা দুজনই জাপানি, তবে কিতাজিমার জন্ম আর্জেন্টিনায়। চিত্রনির্মাতা হিসেবেই তিনি পরিচিত। এ দেশে পা রাখার উদ্দেশ্যটা তথ্যচিত্র নির্মাণ হলেও সেবার তাঁকে মুগ্ধ করেছিল বাংলাদেশের রিকশা। সেই থেকে শুরু। জাপানপ্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পী ও প্রযোজক সলিমুল্লাহ কাজল আর জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সিকে (জাইকা) সঙ্গে নিয়ে চমকপ্রদ সব আয়োজন করেছেন তিনি। প্রতিটি আয়োজনের মধ্যমণি রিকশা। গত বছর ১৫ মার্চ প্রথমবারের মতো ঢাকায় রিকশা-ফিয়েস্তার আয়োজন করেছিলেন তাঁরা। এ বছর আবারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সেই উৎসব। গত বছরের চেয়ে আয়োজনটা হবে আরও বড় পরিসরে।
‘আমাদের উদ্দেশ্য মূলত বাংলাদেশকে প্রমোট করা, একটা সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ তৈরি, সেই সঙ্গে বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পকেও এগিয়ে নেওয়া। এবারের আয়োজনের থাকছে তিনটা অংশ। রিকশা-দৌড়, রিকশাচিত্রের প্রদর্শনী ও ডিসট্রিক্ট ফেয়ার।’ বলছিলেন কিতাজিমা। জানা গেল, রিকশা-দৌড় অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৮ এপ্রিল, একই দিনে শুরু হওয়া প্রদর্শনী আর ডিসট্রিক্ট ফেয়ার চলবে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত।