একুশে হলে থাকা অবস্থায় বালিশের নীচে সর্বদা এক খান বই থাকতো। সবই নীলক্ষেতের অবদান। ঘুমানোর সময় পড়তে পড়তে ঘুমাইতাম। বলাকা সিনেমা হলের পাশের গলিতে ঢুকলেই আলী ভাই দোকান থেকে ঘাড়ে ঝাপায় পড়তো। অতীব সুন্দরী বালিকাকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হলেও, উনাকে এড়িয়ে যাওয়া অসম্ভব ব্যাপার ছিল।
এখানে নাই নীলক্ষেত, নাই আলী ভাই! তবে আছে অ্যামাজন, আর সাথে সর্বদা "সুড়সুড়ি" দেয়া ভিসা কার্ড। তবে প্রথম একটা বইয়ের হার্ড কপি কিনার পর বুঝলাম আমার মতো গরীবের জন্য এটা কিঞ্চিৎ বিলাসিতা। তারপর থেকে আশ্রয় নিলাম সফট কপি আর কিনডলের। হার্ড কপির তিন ভাগের এক ভাগ দামেই জুটে বই। সাথে অ্যামাজনের ক্লাউডে আরাম করে বই রেখে দেয়া যায়। আকাশের মেঘে কিছু থাকুক বা না থাকুক, আমার অ্যামাজনের মেঘে বই গুলো সর্বদা সাজানো থাকে। ঘুমানোর সময় কম্বলের ভিতর গিয়ে আগের মতই পড়তে পড়তে ঘুমাতে পারি।
আল্লাহর বান্দার হতাশ হবার কারণ নাই!