জুমল্যান্ড! বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এ যেন নতুন এক ইজরাঈল।
|
প্রাথমিকভাবে রাঙামাটি-বান্দর বান- খাগড়াছড়ি এই ৩টি প্রদেশ নিয়েই গঠিত হবে স্বাধীন রাষ্ট্র জুমল্যান্ড। স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার জন্য ইতোমধ্যেই গোপনে সংগঠিত হয়েছে চাকমা সেনাবাহিনী। কেবল নেতার নির্দেশের অপেক্ষা। যে কোন মুহুর্তে জুমল্যান্ডের স্বাধীনতা ঘোষনা করতে পারেন চাকমাবন্ধু সন্তু লারমা। তারপরই শুরু হবে প্রতিরোধ যুদ্ধ। হানাদার বাঙালী বাহিনীকে না হটিয়ে ঘরে ফিরবে না চাকমার দামাল ছেলেরা।
|
মাতৃভূমি জুমল্যান্ডকে দখলদার বাঙালীমুক্ত করার জন্য যত রক্ত লাগে দিতে প্রস্তুত মুক্তিকামী চাকমা জনতা। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম চাকমাদের মুক্তির সংগ্রাম।
|
এই স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও জনবল দিয়ে চাকমাদেরকে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছে বন্ধুরাষ্ট্র বার্মা।
|
স্বাধীনতার ঘোষক সন্তু লারমা হবেন স্বাধীন জুমল্যান্ডের প্রথম রাষ্ট্রপতি। স্বাধীনতা অর্জনের পর জুমল্যান্ড আলাদা রাষ্ট্র হবে নাকি বার্মার সাথে যোগ দেবে সে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য একটি গণভোটের আয়োজন করা হবে।
* * *
না, উপরের কথাগুলো মোটেও অবাস্তব কল্পনা নয়। এটি হল বর্তমান সময়ের তিক্ত বাস্তবতা। কোন সন্দেহ নেই যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চলে যুদ্ধাবস্থায় না থাকলে জুমল্যান্ড বহু আগেই স্বাধীন হয়ে যেত। তবে শুধুমাত্র সেনাবাহিনী দিয়ে তাদেরকে আর কতদিন দমিয়ে রাখা যাবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। ইতোমধ্যেই চাকমারা নিজেদের একটি সেনাবাহিনী গঠন করেছে- যাদের রয়েছে নিজস্ব ইউনিফর্ম এবং আগ্নেয়াস্ত্র। তাদের রয়েছে নিজস্ব পতাকা। জুমল্যান্ডকে স্বাধীন করার জন্য তারা আরো নানামুখী পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। জুমল্যান্ড থেকে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহার এবং চাকমাদেরকে স্বাধীনতা দেয়ার জন্য পরবর্তীতে বাংলাদেশের উপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা হবে। এছাড়া বার্মা সহ বিভিন্ন বিদেশী রাষ্ট্র উপজাতিদেরকে সকল প্রকার সমর্থন ও সহায়তা দিতে আগ্রহী।
|
এখনই পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের পাশে হয়তো গড়ে উঠবে আরেকটি ইজরাঈল। প্রথমে পার্বত্য এলাকা দখল করে তারা পরবর্তীতে বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার দিকে নজর দেবে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য কেবল সেনাবাহিনীর উপর নির্ভর না করে পার্বত্য এলাকায় আরো ব্যাপক পরিমাণে বাঙালি বসতি স্থাপন করা উচিৎ। প্রয়োজনে পার্বত্য এলাকায় শিল্প কারখানা, গার্মেন্টস ইত্যাদি নির্মান করে দেশের অন্যান্য এলাকা থেকে পার্বত্য এলাকায় লোক স্থানান্তর করতে হবে। মোটকথা, পার্বত্য এলাকায় বাঙালীরা যাতে সংখ্যাগরিষ্ট হয় সেটি নিশ্চিৎ করা এমুহুর্তে সবচেয়ে বেশি জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
|
কপি করে পোস্ট করতে থাকুন। কেউ বাদ যাবেন না। সংগৃহীত।