প্রসঙ্গঃ গীবত (অর্থাৎ কারো অনুপুস্থিতিতে কিছু বলা যা সে অপছন্দ করে) সম্পর্কে।
.
সহিহ বুখারি, হাদিস নং ৬৩৫৭।
.
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ তোমরা কি জান, গীবত কী জিনিস ? তাঁরা বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই ভাল জানেন। তিনি বললেন, (গীবত হল) তোমার ভাই -এর সম্পর্কে এমন কিছু আলোচনা করা (তার অনুপুস্থিতিতে), যা সে অপছন্দ করে। প্রশ্ন করা হলো, আমি যা বলছি তা যদি আমার ভাই - এর মধ্যে থেকে থাকে তবে আপনি কি বলেন? তিনি বললেন, তুমি তার সম্পর্কে যা বলছো তা যদি তার মধ্যে থাকে তাহলেই তুমি তার গীবত করলে। আর যদি তা তার মধ্যে না থাকে তাহলে তো তুমি তার প্রতি অপবাদ আরোপ করলে ।
.
রিয়াযুস স্বা-লিহীন, হাদিস নং ১৫৩৪।
.
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যখন আমাকে মি‘রাজে নিয়ে যাওয়া হল, সে সময় এমন ধরনের কিছু মানুষের নিকট দিয়ে অতিক্রম করলাম, যাদের নখ ছিল তামার, তা দিয়ে তারা নিজেদের মুখমণ্ডল খামচে ক্ষত-বিক্ষত করছিল। আমি প্রশ্ন করলাম, ওরা কারা হে জিবরাইল ? তিনি বললেন, ওরা সেই লোক, যারা মানুষের গোশত ভক্ষণ করতো (অর্থাৎ গীবত করতো) ও তাদের ইজ্জত নষ্ট করতো”।
.
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৮০২।
.
আবূ বারযা আসলামী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ হে জনগণ ! তোমরা যারা মুখে মুখে ঈমান এনেছ, কিন্তু অন্তরে এখনও ঈমান প্রবেশ করেনি, তোমরা মুসলমানদের গীবত করো না এবং তাদের ইজ্জত নষ্ট করো না । কেননা, যারা মুসলমানদের ইজ্জত নষ্ট করতে চায়, আল্লাহ্ তাদের ইজ্জত নষ্ট করেন । আর আল্লাহ্ যাকে অসম্মানিত করতে চান, তাকে তিনি তার ঘরেই অপদস্থ করেন ।
.
মহান আল্লাহ্ তায়লা আমাদেরকে পরনিন্দা, গীবত থেকে রক্ষা করুন। আমীন।