প্রভাত কিরণে অলস নয়নে দেখি আপন গৃহে
তেলাপোকার দল করছে সভা চরম পরম মোহে
লুটোপুটি খেয়ে থালাতে পরে চুমো খাচ্ছে মগে
পাতিলে পাতিলে পরশ ভুলিয়ে সাঁতার কাটছে জগে
কাপ পিরিচে নৃত্য শেষে চেয়ার টেবিলে খেলে
আলমিরাতে বসত গড়ে কাপড়চোপড়ে দোলে
জুতার মাঝে বিশ্রাম নিয়ে দেয়ালে দেয়ালে হাঁটে
লেপতোশকে কর্ম সেরে নিদ্রায় গেল খাটে।
ভাবছি আমি হলো কি একি? এ যে দেখি তাদের ঘর।
বুঝলাম আমি, অবহেলা আর অযতনে হলো আপন গৃহ পর।
কি দোষ তাদের? পায় যদি তারা এমন সুখের খোঁজ।
আমারই বা দোষ কোথায় বলো? হয় যদি কেউ নিখোঁজ!
যাকে দেখে হবো আমি উৎসাহী আর উদ্যমী
যার দেখায় হবো আমি চঞ্চল আর পরিশ্রমী
সে ই যদি পালিয়ে বেড়ায় দেখা হবার আগে
কেমন করে এই মনেতে কর্ম স্পৃহা জাগে?
সেসব দেখে, এসব ভেবে প্রশ্ন জাগে মনে
তবে কি আমি পরবাসী হবো আপন গৃহকোণে?
স্বপ্ন হারিয়ে পরাজিত হয়ে রইবো স্বপ্নহীনে?
স্বপ্নহীনে প্রাণহীন দেহে বাঁচিবো আশাহীনে?
আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে সহসা আশা জাগাই মনে
আশাহীনে আর জীবন নহে ছুটবো স্বপ্নপানে
স্বপ্নকে আমি করবো তাড়া, করে শাসন আমায়
না হয় আমি শাসিত হবো নতুন স্বপ্নের তাড়ায়।