মেয়েটা সকালবেলা স্ট্যাটাস দিলো--
"হাই! গুড মরনিং! সবাই কেমন আছেন?"
কিছু ছেলে তাতে এমনভাবে কমেন্টস করতে লাগলো যেনো তাকেই নির্দিষ্ট করে মেয়েটা স্ট্যাটাস টা দিয়েছে। অতি উৎসাহী কেউ একজন তার ফোন নম্বর ও দিয়ে দেয়!
মেয়েটা স্ট্যাটাস দিলো---
"আমি খুব অসুস্থ! সবাই আমার জন্য দোয়া করিও প্লিজ!"
কমেন্টবক্সে নিতান্ত দায়ে না পড়লে জুমার নামায না পড়া ছেলেটার দোয়া করার স্টাইল একজন বিজ্ঞ আলেমকেও হার মানায়!
মেয়েটা একদিন ওর একটা পিক আপলোড দিলো-----
কতোগুলো ছেলে তখন মেয়েটার রুপের এতো প্রশংসা করতে লাগলো যে,বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন না করাটা যেন মেয়েটার লাইফের সবচেয়ে বড় ভুল ছিলো!
মেয়েটা আরেকদিন বললো, " আমার এক্সাম চলছে। তাই কিছুদিন এফবিতে আসতে পারবোনা"
তাতে কিছু ছেলের কমেন্টস পড়লে মনে হয়,মেয়েটা মারা গেলেও ওর বাবা-মা ততোটা মিস করতোনা যতোটা ওরা মেয়েটাকে একয়টা দিন মিস করবে!
তারউপরতো আছেই। মেয়েটা অনলাইনে এ্যাক্টিভ হওয়া সাথে সাথেই কতো ভাই,বন্ধু,লাভার বয় উঁকি দিতে শুরু করে মেয়েটার ইনবক্সে! কতো দরদ মেয়েটার জন্য ওদের!
মেয়ে! এরা তোমার জন্য সব করতে পারে! তোমার আইডিতে প্রভলেম হলে এরা তা ঠিক করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবে। তোমার সাথে কোনো ছেলে তর্ক করলে এরা তোমাকে হেল্প করতে উড়ে এসে জুড়ে বসবে। তোমার প্রতিটা অখাদ্য টাইপের স্ট্যাটাস এ ও এরা মুখরোচক কমেন্টস করবে। রাত তিনটায় হঠাৎ সজাগ হয়ে যাওয়ায় নির্ঘুম সময় কাটাতে এফবিতে ডুকলেও এরা মুহুর্তেই তোমার ইনবক্সে হাই/হ্যালো করবে!
.
.
তবুও এরা তোমার প্রকৃত আপন কেউ নয়! তোমার জন্য এরা এতো করে কারন তোমার পরিচয়, তুমি মেয়ে! কারন ওদের কাছে তুমি এ্যাজয় করার ম্যাটারিয়াল! জাষ্ট একবার কোনো রকমে তোমাকে পটানোই ওদের টার্গেট! আর বাকি আট-দশটা মেয়ের সাথেও ওরা সেইম আচরণ ই করে!
.
.
সবশেষে শুধু কথা একটাই! তুমি যতোক্ষন না ওদের কাছে ধরা দিবে,ততোক্ষন ই ওদের কাছে তোমার মূল্য! কিন্তু যখন ই ধরা দিবে,তখন ই তোমার পাওয়ার শেষ! ওরাই তখন তোমাকে নিয়ে খেলবে ওদের ইচ্ছেমতো!
.
.
.
সো জাষ্ট বি কেয়ারফুল! মিথ্যা আবেগের কাছে নিজেকে সমর্পণ করোনা। জীবন থেকে হারিয়ে যাবে!!!
লিখা:- গোধূলীর রক্তিম আবির (নওয়াব ফয়জুন্নেসা সরকারী কলেজ)