তারুণ্যের স্পর্ধা মহাজোট সরকারের প্রাণ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ২০০৮ এ ক্ষমতায় এসেছে তারুণ্যের রাজনীতির ট্রাম্পকার্ডে। পেট্রোল বোমার সন্ত্রাস ও মানুষ হত্যার রাজনীতির বিপরীতে শেখ হাসিনার মানবিক-গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল রাজনীতির প্রতি গণমানুষের বিশ্বাস- বর্তমান সরকারের ক্ষমতার উৎস। বাংলাদেশের সিংহভাগ তরুণ, নবীন রাজনৈতিক কর্মী শেখ হাসিনার গণমানুষের ভাগ্য উন্নয়নের রাজনীতির অনুগামী। এর কারণ তরুণদের আশা-আকাংখা, দ্রোহ, স্বপ্ন, বিশ্বাসকে ভাষা দিতে পেরেছেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের রাজনীতির ক্ষমতা কাঠামোর ভাষা আলাদা। ইউরোপের চোখে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের দেহ নিরিখ করলে চলবে না, কয়েক দশকের অপরাজনীতি, বাংলাদেশ বিরোধী রাজনীতি, জলপাই সংস্কৃতি, ধর্মের দাবার গুটি রাজনীতি-প্রশাসনে জায়গা করে নিয়েছে। এর বাইরে আছে উন্নত দেশ হতে আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গীকারকে বাঁধাগ্রস্ত করতে পরাশক্তিদের নিজ স্বার্থের আলোকে বাংলাদেশকে নিয়ে 'গেমপ্ল্যান'। অধীনস্থতার উন্নয়ন দর্শন কে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে বাংলাদেশ-উন্নয়নের নতুন রাজনীতি নির্মাণ করে চলেছেন শেখ হাসিনা। তাঁবেদারির প্রেসক্রিপশনের চেয়ে যার কাছে জনগণের ভালবাসার মূল্য অনেক বেশি।
পাবলিক পরীক্ষা, ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের আউটকাম হিসেবে সরকারের প্রতিপক্ষ রুপে তরুণ সমাজকে দাঁড় করানোর পলিটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিদেশী নাগরিক দের হত্যা করার কারসাজির মাধ্যমে বিশ্বের চোখে অনিরাপদ বাংলাদেশের চিত্রকল্প তারাই করে যারা বাংলাদেশে শেখ হাসিনার রাজনীতিকে কোণঠাসা করে এদেশের তারুণ্যের স্পর্ধা আর গণমানুষের অধিকার কায়েমের রাজনীতিকে অবদমিত করে রাখতে চায়। দেশীয় অন্তর্ঘাতমূলক কার্যকলাপ, বিদেশি খেলোয়ারদের খেলাধূলা, প্রশাসনে ঘাপটি মারা সর্ষের মধ্যের ভূত আর অপরাজনীতির ছদ্মবেশী এজেন্ট সবাইকে প্রতিহত করেই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং বিদেশী নাগরিকদের হত্যার নীলনকশার সুষ্ঠ সুরাহা হোক।